লাল চাল (আমন):
লাল চাল সাধারণত ঢেঁকিছাঁটা চাল, কুড়াকাটা চাল ও ব্রাউন রাইস নামেও পরিচিত। আমরা সাধারণত চাল বলতে যেই সাদা অংশটুকু চিনি সেটি ছাড়াও চালের বাইরে খোসা ও কুড়া বা ব্র্যানের স্তর থাকে। সাদা চালের ক্ষেত্রে চাল ছাড়া অন্যান্য স্তরগুলো ছাঁটাই করে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু লাল চালে কেবল খোসাটিই ছাঁটাই করা হয়। তাই লাল চালকে পূর্ণশস্য বলা হয় এবং এটি সাদা চালের তুলনায় অধিক ফাইবার ও খনিজ সমৃদ্ধ হয়।
আমন ধান বাংলাদেশের নীলফামারী জেলায় উৎপাদিত একটি জনপ্রিয় ফসল। আমরা ‘হেলদি ইটস’ ব্র্যান্ড পণ্যের সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করে এই অঞ্চল থেকে লাল আমন চাল সংগ্রহ করে গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেই। ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর লাল আমন চাল আপনার রান্নায় এনে দিবে নতুন স্বাদ।
লাল চাল (আমন) এর উপকারিতা:
১. পুষ্টিতে সমৃদ্ধ: লাল চাল ফাইবার, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সরবরাহ করে।
২. উচ্চ ফাইবার: উচ্চ ফাইবার থাকায় হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: লাল চালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এমন একটি পদার্থ, যার কাজ হলো দেহের সুস্থ কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে বাচাঁনো।
৪. হার্টের স্বাস্থ্য: লাল চাল এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।
৫. ওজন ব্যবস্থাপনা: উচ্চ ফাইবার উপাদান থাকায় দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা এবং অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
লাল চাল (আমন) এর এর ব্যবহারঃ
১. রন্ধন সম্পর্কিত ব্যবহার: প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে লাল চাল।
২. পিঠা তৈরী: বাংলাদেশে পিঠাপুলির উৎসবে ব্যবহার করা হয় লাল চাল।
৩. মিষ্টান্ন তৈরি: পায়েশ, ফিরনি, জর্দা ইত্যাদি মিষ্টান্ন তৈরীতে লাল চাল ব্যবহৃত হয়।
সতর্কতা:
রান্না করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এর উচ্চ ফাইবার সামগ্রীর কারণে পরিপাক সংবেদনশীল ব্যক্তিরা অতিরিক্ত পরিমাণ লাল চাল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।